1. ✅ স্ক্রিনের সময় নির্ধারণ করুন:
   প্রতিদিন কতক্ষণ স্ক্রিনে সময় কাটাবে তা স্পষ্ট করে নির্ধারণ করুন (যেমন: ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা) এবং তা মেনে চলুন।
2. 📅 স্ক্রিন ছাড়া “বিকল্প সময়সূচি” তৈরি করুন:
   শিশুর সময় যেন স্ক্রিনে না গড়িয়ে যায় সেজন্য প্রতিদিন বিকেল বা সন্ধ্যায় গল্প বলা, খেলা, ছবি আঁকা, ব্লক বা পাজল খেলার সময় ঠিক করে দিন।
3. 🤹‍♀️ আকর্ষণীয় খেলনার ব্যবস্থা করুন:
   Montessori, পাজল, ম্যাগনেটিক টয়, আর্ট-ক্রাফট ইত্যাদি স্ক্রিনের বিকল্প আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে।
4. 👨‍👩‍👧‍👦 পারিবারিক সময় বাড়ান:
   শিশুর সঙ্গে কথা বলুন, একসাথে খাওয়া, হাঁটা বা খেলা করুন। পরিবারের সক্রিয় অংশীদারিত্ব শিশুদের স্ক্রিন থেকে দূরে রাখে।
5. 🕵️ নিজের স্ক্রিন ব্যবহার সীমিত করুন:
   আপনি যদি সারাদিন মোবাইলে থাকেন, তবে শিশুও সেটাই শিখবে। নিজের আচরণে উদাহরণ দিন।
6. 🧠 সৃজনশীল কাজ শেখান:
   ছবি আঁকা, গান, নাচ, রান্না, কাগজ দিয়ে কিছু বানানো—এসব কাজে শিশুদের মনোযোগ দিন।
7. 📚 রাতের ঘুমের আগে স্ক্রিন একেবারে বন্ধ করুন:
   শুতে যাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে থেকে স্ক্রিন নিষিদ্ধ করুন—ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুব জরুরি।
8. 🎲 বাইরের খেলাধুলায় উৎসাহ দিন:
   ফুটবল, সাইকেল চালানো, লুকোচুরি—এই সব খেলায় সক্রিয় অংশ নিতে দিন।
9. 🕹️ ডিজিটাল ডিটক্স দিন নির্ধারণ করুন:
   সপ্তাহে ১ দিন “No Screen Day” পালন করুন। পুরো পরিবার একসাথে এতে অংশ নিন।
10. ❤️ ভালোবাসা ও মনোযোগ দিন:
    অনেক সময় শিশু স্ক্রিনে সময় কাটায় কারণ সে একাকিত্ব বা অবহেলা অনুভব করে। শিশু যেন মমতা ও মনোযোগ পায়—সেটিই সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক।

🔔 মনে রাখুন:
“স্ক্রিন নিয়ন্ত্রণ নয়, সংযোগ গড়ে তুলুন।”
শিশুর মনে ভালোবাসা ও নিরাপত্তা তৈরি হলে সে নিজেই স্ক্রিন ছাড়ার পথ খুঁজে নেবে।